সিবিআই অধিকার্তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মুখ খুললেন অলোক বর্মা। নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বর্মা বলেন, ‘মাত্র একজনের অভিযোগের ভিত্তিতেই আমাকে সরানো হয়েছে’।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মাত্র দু’দিন আগে সিবিআই ডিরেক্টরের পদ ফিরে পান অলোক বর্মা। কাজেও যোগ দেন তিনি। কিন্তু তার একদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্যানেল তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলির সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার সেই সিদ্ধান্তের পর রাতেই অলোক বর্মাকে কার্যত গুরুত্বহীন পদে বদলি করে দেওয়া হয়। তারপর আজ শুক্রবার বর্মা বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ে বাইরে থেকে আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। সিবিআই-এর মতো তদন্তকারী সংস্থার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছিল। আমি সংস্থার স্বতন্ত্রতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম। ফের দায়িত্ব নিতে বললে, আমি সেই চেষ্টাই করব’।
গত ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে অলোক বর্মার সঙ্গেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে। রাকেশের অভিযোগের ভিত্তিতেই মূলত ছুটিতে পাঠানো হয় অলোক বর্মাকে। এই নিয়ে বর্মার বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার কোনওটা ভিত্তিহীন, কোনওটার তথ্যপ্রমাণ নেই, কোনওটা পুরোপুরি মিথ্যে। বর্মা বলেন, ‘এমন এক অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে সরানো হল, যিনি নিজেই অপরাধী।‘
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটির বৈঠকের পরই সরিয়ে দেওয়া হয় অলোক ভার্মাকে। ওই বৈঠকে ছিলেন লোকসভায় বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে, বিচারপতি এ কে সিক্রি এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ২:১ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অলোক বর্মাকে অপসারিত করার পদক্ষেপ করা হয়। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে অলোক বর্মার অপসারণ একমাত্র ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন মল্লিকার্জুন খার্গে।