মোদী সরকারের একাধিক হঠকারী সিদ্ধান্তের জেরে বারবার বিড়ম্বনার কবলে পড়েছে আমজনতা। এর আগে নোট বাতিল থেকে জিএসটি, ইত্যাদি বিভিন্ন সিদ্ধান্তে নাজেহাল হয়েছে তারা। এবার তালিকায় নতুন সংযোজন হচ্ছে ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে কেন্দ্রের নয়া ফরমান। গত সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মোদী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরের ফিক্সড ডিপোজিটে জমা পড়া টাকা চার বছর পর তুলতে গেলে সুদ মিলবে সেভিংস অ্যাকাউন্টের হারে। এখন পাঁচ বছরের মেয়াদী আমানতে সুদের হার ৭.৫ শতাংশ। তার বদলে মাত্র ৪ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাবে। ১৪ই নভেম্বর এক নির্দেশিকায় ডাক বিভাগ জানিয়েছে, চার বছরের আগে ভাঙানো যাবে না পাঁচ বছরের মেয়াদি আমানত। ডাকঘরের এফডি স্কিমগুলির মধ্যে পাঁচ বছরের আমানতই সর্বাধিক জনপ্রিয়। এতে সুদও বেশি পাওয়া যায়। ইচ্ছে হলে আগেভাগে ভাঙিয়ে নেওয়া যায় আমানত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহক আমানত খোলার ছ’মাস পর যেকোনও সময় তা ভাঙিয়ে নিতে পারত। যতগুলি পূর্ণ বছর আমানত চালু থাকে, সেই বছরগুলির জন্য ফিক্সড ডিপোজিটে যে সুদ পাওয়ার কথা, তার চেয়ে ২ শতাংশ কম হারে সুদ পাওয়া যায়। পূর্ণ বছরগুলি বাদে যে ক’মাস থাকে, সেই সময়ের জন্য সুদ পাওয়া যায় সেভিংস অ্যাকাউন্টের হারে। গ্রাহক যদি আড়াই বছরের মাথায় আমানত ভাঙান, তাহলে তিনি ওই স্কিমে ২ বছরের জন্য যে হারে সুদ নির্ধারিত রয়েছে, তার চেয়ে ২ শতাংশ কম মেলে। ছ’মাসের সুদ পাওয়া যাবে ৪ শতাংশ হারে। এই নিয়মই তুলে দিল ডাক বিভাগ। এখন চার বছরের আগে এফডি ভাঙানোই যাবে না। তারপর ভাঙানো গেলেও সেভিংস অ্যাকাউন্টের হারেই সুদ মিলবে। গ্রাহককে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস বলছেন, ডাকঘরের অপেশাদারিত্বের জেরে গ্রাহক ক্রমশ কমছে। এহেন গ্রাহকবিরোধী নীতির জেরে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলেই মনে করছেন তিনি।