লোকসভা ভোটের আগে জেলাস্তরে সাংগঠনিক রদবদল করেছে তৃণমূল। আট সাংগঠনিক জেলায় বদলানো হয়েছে সভাপতি। একধিক জেলায় বদলেছে চেয়ারম্যানও। তবে এখানেই শেষ নয়, দলের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, পদে বসলে কাজ করতে হবে, নাহলে হারাতে হবে পদ। প্রতি একবছর অন্তর পারফর্মেন্স রিভিউ হবে। তার ভিত্তিতেই ঠিক হবে পদ থাকবে না যাবে।
২০২১ সালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে দেখা গিয়েছে দলের ৩৫টি সাংগঠনিক জেলায় প্রতি আড়াই বছরে অন্তত ৫০ শতাংশের বেশি জেলা সভাপতির বদল হয়েছে।
এই সাংগঠনিক রদবদলের নতুন ধারা তৈরি হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় থেকেই। তার আগে দেখা গিয়েছে দীর্ঘসময় ধরে জেলা সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায়, অনুব্রত মণ্ডল, তপন দাসগুপ্ত।
আলিপুরদুয়ারে প্রকাশ চিক বরাইক, জলপাইগুড়িতে মহুয়া গোপ, উত্তর দিনাজপুরে কানাইয়ালাল আগরওয়াল, জঙ্গিপুরে খলিলুর রহমান, পূর্ব বর্ধমানে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, হাওড়া গ্রামীণে অরুণাভ সেন, দক্ষিণ কলকাতায় দেবাশিস কুমার, আরামবাগে রামেন্দু সিংহ রায়, যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবারে শুভাশিস চক্রবর্তীরা এ বারও সভাপতি হয়েছেন। এদের বাদ দিলে বাকি সব জেলা কমিটির পদেই রদবদল হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে নবজোয়ার যাত্রাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার পাফর্মেন্স রিভিউয়ের কথা বলেছিলেন। সেই সময় কয়েকজন পঞ্চায়েত পদাধিকারিককে সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে একে ‘আইওয়াশ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তৃণমূলের দাবি, তা আসলে কিছু ‘নমুনা’ ছিল। এবার তাকে ‘অফিসিয়াল’ করা হয়েছে। এক তৃণমূল নেতা কথায়, ‘২০২২-এর আগস্টে জেলাস্তরে এমন সাংগঠনিক রদবদল হয়েছিল। এ বছর পঞ্চায়েতে ভোটের পরই জেলা নেতৃত্বের পারফর্ম্যান্সের রিভিউ হয়। তার ভিত্তিতে নতুন জেলা নেতৃত্বের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।’