‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে এক রাতে দু’লক্ষ মুকুল রায় আর পাঁচ লক্ষ সৌমিত্র খাঁ তৈরি করতে পারেন। কিন্তু মুকুল রায় চেষ্টা করলে গোটা একটা শতাব্দীতেও একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করতে পারবেন না।’ আজ কুলগাছিয়ায় ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভা থেকে ঠিক এই ভাষাতেই বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন সাংসদ তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার দুপুরে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই যুব তৃণমূল সভাপতি তথা তৃণমূলের তরফে বাঁকুড়া জেলার পর্যবেক্ষক অভিষেককে কটু ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন মুকুল-শিষ্য বলে পরিচিত সৌমিত্র। গতকালই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন অভিষেক। আর আজ তিনি আরও একধাপ এগিয়ে নিজের ধারালো বাক্যবাণ বিদ্ধ করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদকে।
বুধবার দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতরে দাঁড়িয়ে উত্তেজিত শরীরী ভাষায় সৌমিত্র তাঁর পুরনো দলকে নানা ভাবে আক্রমণ করেন। তাঁর আক্রমণের নিশানায় অভিষেকের পাশাপাশি ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রীর নামে মিথ্যে অভিযোগ এনে তাঁকে কালিমালিপ্ত করতেও ছাড়েননি তিনি। এর পরেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, ‘ওরকম অনেক দেখা আছে। হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল!’ এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে, ‘লোকসভা ভোটে একটা বুথেও জিতে দেখাক দেখি, আমার নাম বদল করে ফেলব।’
এদিন গোটা বক্তৃতার সিংহভাগ জুড়েই মোদী এবং তাঁর দল বিজেপিকে আক্রমণ করলেন অভিষেক। কখনও ছন্দ মিলিয়ে, কখনও আবার রাজনৈতিক ঘটনা বা নীতি উল্লেখ করে। এর পাশাপাশি তাঁর ঘোষণা, আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ১৩০ কোটি মানুষের মুক্তিসূর্য। বিজেপির উদ্দেশ্যে তৃণমূল যুব সভাপতির কটাক্ষ, ‘আমরা যাদেরই আবর্জনা করে ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছি। বিজেপি তাদের রত্ন করে মাথায় তুলে নিচ্ছে।’