দুশো ত্রিশ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ১৭ নভেম্বর। তার আগে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এই নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-এর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২৫৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৭২ জন অর্থাৎ উনিশ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ২৯১ অর্থাৎ ১১ শতাংশ। তবে এর মধ্যে বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে।
বহু মামলা থাকা প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র পাটোয়া। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১৭৫ টি। তারপরেই রয়েছেন আদিবাসী পার্টির প্রার্থী কমলেশ্বর দোদিয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১৫।
কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ মাঙ্গিলাল শর্মার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে ১৪টি। আরেক কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল শর্মা হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে ১২টি। বিজেপি প্রার্থী বিসাহুলাল সিং তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১২ টি। এডিআর-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৩০ জন কংগ্রেস প্রার্থীর মধ্যে ১২১ জন অর্থাৎ প্রায় ৫৩ শতাংশ তাঁদের হলফনামায় ফৌজদারি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। এঁদের মধ্যে ৬১ জন অর্থাৎ প্রায় ২৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে ২৩০ জন বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ৬৫ জন অর্থাৎ প্রায় ২৮ শতাংশ তাঁদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত ফৌজদারি মামলার কথা জানিয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২৩ জন অর্থাৎ প্রায় ১০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এডিআর জানিয়েছে, ৬৬ জন আপ প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন অর্থাৎ ৩৯ শতাংশ নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা ঘোষণা করেছেন। এঁদের মধ্যে ১৮ জন অর্থাৎ ২৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এছাড়াও ১৮১ জন বিএসপি প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জন অর্থাৎ ৯ শতাংশ নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা জানিয়েছেন। এঁদের ১৬ জন অর্থাৎ ৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে।