সামনেই দীপাবলী। আলোর উৎসবে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। তার আগে ময়দানে ফের শুরু হল বাজি বাজার। মঙ্গলবার শহিদ মিনার ময়দান পরিদর্শন করে এসেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বুধবার দোকানে দোকানে চলে এসেছে বাজি। চাহিদায় শীর্ষে ‘ক্র্যাকলিং কিং’, ‘ম্যাজিক ট্রি’, ‘টাইনি গান’, ‘বাটারফ্লাই কালার রান’, ‘প্রজাপতি বাজি’ ইত্যাদি। বাবা-মায়ের সঙ্গেই বাজি কিনতে ভিড় জমাচ্ছে কচিকাঁচারাও। এবার ঐতিহ্যবাহী বাজির চেয়ে নিত্যনতুন বাজি কেনার ঝোঁকই বেশি। ম্যাজিক ট্রি ও ক্র্যাকলিং কিং ৩০ ফুট উঁচুতে উঠবে বলেই দাবি বিক্রেতাদের। আলোর ফোয়ারা তৈরি হবে। ক্র্যাকলিং কিং দাম ৫০০ টাকা, প্যাকেটে মিলছে পাঁচটি করে। ম্যাজিক ট্রির দুটির দাম ৬০০ টাকা। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে টাইনি গান, বাটারফ্লাই কালার ফান। টাইনি গান ক্যাপ-বন্দুকের মতো, বন্দুক আকারের ছোট্ট বস্তুটির সামনে লম্বা সলতে। তাতে আগুন ধরালেই বাহারি রঙের আলো বেরোতে থাকবে। ছ’টির দাম ৬৫০ টাকা।
পাশাপাশি, বাটারফ্লাই কালার রান বাজিতে আগুন দিলে তা প্রজাপতির মতো আকার নেবে। বিভিন্ন রঙ বেরোবে তাতে, তারপর তা আকাশে উড়বে। চারটির দাম ৪০০ টাকা। পুলিশ, দমকল, ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি), রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার সকালে বাজি বাজার পরিদর্শন করেন। বিকেলের পর বাজি বাজার চত্বরে কলকাতা পুলিশের ঘোড়সওয়ার বাহিনী সেখানে টহল দিয়েছে। বাজি বাজারে মোতায়ন রয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনা রোধ করতে বন্দোবস্ত রয়েছে দমকলের ইঞ্জিনেরও।