সন্ত্রাসের আবহে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভূস্বর্গ। আরও একবার জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর চৌকির উপর হামলা চালাল পাকিস্তান। সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টরে বুধবার রাত থেকে টানা পাক বাহিনীর গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন এক বিএসএফ জওয়ান। অন্য দিকে, সেনা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোরে সোপিয়ান জেলায় নিহত হয়েছেন জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের দলছুট গোষ্ঠী ‘দি রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর এক কমান্ডার। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মাইসের আহমেদ দার একাধিক নাশকতার মামলায় অভিযুক্ত।
এরপর সূত্র মারফত খবর পেয়ে কাথোয়ালেন গ্রামে বুধবার গভীর রাতে হানা দিয়েছিল যৌথ বাহিনী। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দারের। তাঁর কয়েক জন সঙ্গী অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁদের সন্ধানে আশপাশের জঙ্গল এবং পাহাড় ঘেরা এলাকাগুলিতে চিরুনিতল্লাশি শুরু হয়েছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, রামগড় সেক্টরে একাধিক সীমান্ত চৌকিতে বুধবার রাত ১২টার পর থেকে বিনা প্ররোচনায় পাক বাহিনী হামলা চালায়। পাকিস্তান রেঞ্জার্স বাহিনীর পাশাপাশি পাক জঙ্গিরাও হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে বিএসএফের একটি সূত্রের খবর। বিএসএফের তরফেও পাক-গুলির জবাব দেওয়া হয়। শীত পড়ার আগে উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতেই এই হামলা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।