বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সরস্বতী পুজোর দিন হাতেখড়ি দিয়ে গেরুয়া শিবিরের চক্ষুশূল হয়েছিলিন তিনি। আর তারপর থেকে কখনই তাঁর সঙ্গে ততটা স্বচ্ছন্দ হতে দেখা যায়নি সুকান্ত-শুভেন্দুদের। এবার খোদ বঙ্গ বিজেপির তরফে বাংলার রাজ্যপাল পদ থেকে সিভি আনন্দ বোসকে সরানোর ব্যাপারে ফের জোরালো আর্জি গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে। রাজ্য বিজেপির একাংশ আশা করছেন, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর রাজভবনের জন্য নতুন মুখ পাঠাতে পারে দিল্লি। বর্তমান রাজ্যপালকে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে উত্তর-পূর্বের কোনও রাজ্যে।
বিজেপির একটি সূত্রের মতে, বর্তমান রাজ্যপাল আগ বাড়িয়ে কিছু পদক্ষেপ করে যেমন অস্বস্তি তৈরি করেছেন, তেমনই হঠাৎ করে যখন তিনি দহরম মহরম শুরু করছেন, সেও বিষ্ময়কর। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ মামলায় ইতিমধ্যেই রাজভবনের হাত পুড়েছে। সু্প্রিম কোর্টে হেরে গিয়েছেন রাজ্যপাল। আবার পুজোর সময়ে রাজভবন পুজো-পুরস্কার চালু করার পর দেখা গিয়েছে, কোনও পুজো কমিটিই তা নিতে চায়নি। তৃণমূল তাঁকে উঠতে বসতে কটাক্ষ করছে। অথচ অমিত শাহ যখন শহরে, তখন আবার দেখা যাচ্ছে, রাজ্যপাল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে মিটিং করছেন। কুণালের পাড়ার পুজোয় চলে যাচ্ছেন অঞ্জলি দিতে।