দলীয় ঘোষণা ছাড়াই রাজ্য বিজেপির ‘আদি’ দফতরে অনুগামীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, গত সোমবারের সেই কর্মসূচির কথা আগে থেকে দলকে জানাননি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
একই সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে ওঠা স্লোগান বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে ‘অস্বস্তি’তে ফেলেছে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনও নেতা এমন ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ’ না হয়ে ওঠেন, সে জন্য ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনের সেই হলঘরে তালা ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। এ জন্য আলাদা করে কোনও ঘোষণা না-হলেও দল ঠিক করেছে, নির্দিষ্ট কর্মসূচি থাকলেই ওই হলঘরের দরজা খোলা হবে। আগের মতো সব সময়ে খোলা থাকবে না।
কয়েক মাস আগে থেকেই রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা হচ্ছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের একটি বাড়ি থেকে। ভাড়া নেওয়া বাড়িতেই তৈরি হয়েছে রাজ্য দফতর। রাজ্য নেতাদের আলাদা আলাদা ঘরও রয়েছে সেখানে। সেই সঙ্গে দলের সব ক’টি মোর্চার জন্যও রয়েছে ঘর। অন্য দিকে, ঠিক হয়েছে পুরনো দফতরে তৈরি হবে রাজ্য দলের ‘কল সেন্টার’। এর পাশাপাশি কলকাতা উত্তর লোকসভা এলাকা নিয়ে যে জেলা, তারও দফতর থাকবে মুরলীধর সেন লেনের ওই বাড়িতে। এখন সেই সংস্কারের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই উপরের দিকের অনেক ঘর ভেঙে কাজ চলছে। অস্থায়ী ভাবে দফতর সামলাচ্ছেন কলকাতা উত্তরের জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ। বাকি কোনও নেতার জন্যই আর ঘর নেই। তবে অক্ষত রয়েছে একতলার হল ঘরটি। সেখানে এখনও মাঝে-মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক হয়।