এবার পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পাটোয়ারীকে তোপ দাগল সুপ্রিম কোর্ট। বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রেখেছিলেন তিনি। কেন বানোয়ারিলাল এমন করেছেন, শুক্রবারের মধ্যে সে ব্যাপারে রাজ্যপালের জবাব তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। অ-বিজেপি দলশাসিত প্রায় সব রাজ্যেই রাজ্যপালদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পাটোয়ারী এর আগে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে সম্মতি না দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়েছিলেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা মতো বিধানসভার অধিবেশন ডাকার প্রস্তাবে সম্মতি দিতে বাধ্য হন তিনি। তাঁর পরও রাজ্যপাল নিজেকে না শোধরানোয় উষ্মা প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি সোমবার শুনানিতে বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়ানো মোটেই কাম্য নয়। দু পক্ষ নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিবাদ মিটিয়ে নেবে, এটাই কাম্য। পাঞ্জাবের আপ সরকারের অভিযোগ রাজ্য সরকার বিধানসভায় পাশ হওয়া সাতটি বিল আটকে রেখেছেন। কেন বিলগুলিতে সম্মতি দিচ্ছেন না, তার কোনও কারণ জানাননি তিনি।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, আপ সরকার আদালতে যাওয়া মাত্র রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী ভগবৎ সিং মানকে চিঠি লিখে কথা দেন, রাজ্যবাসীর স্বার্থে তিনি বিলগুলি খতিয়ে দেখছেন। তাতে মামলার গুরুত্ব কমেনি। শীর্ষ আদালত সোমবার বলে, রাজ্যপালেরা অনাদিকাল বিল আটকে রাখতে পারেন না। বিলে সম্মতি বা অসম্মতি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে। এ বছরের গোড়ায় তেলেঙ্গানা সরকারের মামলায় বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওই রাজ্যের রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজনকে একই পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারপরও অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের অনেক রাজ্যপালই নিজেদের সংশোধন করেননি। গত সপ্তাহে তামিলনাড়ু এবং কেরল সরকার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যপাল যথাক্রমে এন রবি ও আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। ওই দুই রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও বিল আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সরকার।