আর দিন বারো পর ভারত কল্যাণ সংকল্প যাত্রা শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নরেন্দ্র মোদী সরকারের রথ ছুটবে দেশের নানা প্রান্তে। রথ সওয়ারিরা প্রচার করবেন বিগত সাড়ে নয় বছরে মোদী সরকার দেশবাসীর কল্যাণে কী কী কাজ করেছে।
সেই মেগা প্রচার কর্মসূচি শুরুর আগে বেকারি নিয়ে খারাপ খবর দিল আর্থিক বিশেষজ্ঞ সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি,’সিএমআই’ সংক্ষিপ্ত নামেই যে সংস্থা দেশে-বিদেশে পরিচিত। তারা জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে দেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ছিল ১০ শতাংশ, যা আগের মাসের তুলনায় দুই শতাংশের কিছু বেশি। আর বিগত বছর অক্টোবরে এই হার ছিল সাত শতাংশের সামান্য বেশি। বেকার বলতে ধরা হয় কত মানুষ কাজ চেয়ে পাচ্ছে না। পরিসংখ্যান বিজ্ঞানে নমুনা সমীক্ষা থেকে সামগ্রিক চিত্র বের করার উপায় বলা আছে।
বেসিরকারি সংস্থা সিএমআই – র রিপোর্টকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে প্রশাসনিক মহল ও শিক্ষা জগৎ। একাধিক রাজ্য সরকার এই প্রতিষ্ঠানকে অর্থনীতিক পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করেছে বিভিন্ন সময়। বাংলায় বাম জমানায় আর্থিক সংস্কারের পিছনে এই সংস্থার সুপারিশ গ্রহণ করেছিল সরকার।
সিএমএমই জানিয়েছে, তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী শহরের তুলনায় গ্রামে কর্মসংস্থানের হার প্রায় আড়াই শতাংশ কম। যা ইঙ্গিত করে শহরের উত্তর কাজের সন্ধানে পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়তি চাপ।
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর পর থেকেই দাবি করতে শুরু করেছে দেশে কর্মসংস্থানে তারা নজির তৈরি করেছে। যদিও বছরে দু কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সরকারি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন কোনও রিপোর্টে দেখা যায়নি। উল্টে সরকারের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিপাকে পড়েছেন সরকারি আধিকারিকেরা।