গত ৬ মাস ধরে জাতি হিংসার আগুনে জ্বলছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। ইতিমধ্যেই কুকি আর মেইতেইদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ঘটেছে গণধর্ষণ, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতই দাবি করুক না কেন সেখানে শান্তি ফিরেছে, বাস্তব বলছে কিন্তু এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। যার ফলে শুক্রবার থেকে নতুন করে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু করতে হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীকে।
উল্লেখ্য, ভারত মায়ানমার সীমান্ত এলাকা মোরেতে গত মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় একজন মহকুমা পুলিশ অফিসার নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও দুই পুলিশ কর্মী। গোয়েন্দা সূত্রের খবর ওই এলাকা কার্যত জঙ্গিদের দখলে চলে গিয়েছে। জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে মায়ানমারের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। তারা সে দেশের সেনা পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পাশাপাশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতেও খুন রাহাজানি করে চলেছে। মোরের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় মিয়ানমার জঙ্গিদের সক্রিয় ভূমিকা নজরে এসেছে প্রশাসনের। সেই কারণে, বিলম্ব না করে ভারতের ওই ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে জোরদার অভিযান শুরু হচ্ছে শুক্রবার।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মোরেতে বিপুল সংখ্যায় নিরাপত্তা জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। সড়ক পথ ছাড়াও দুর্গম এলাকায় ছোট বিমান থেকে সেনা নামানো হয়। ওই এলাকাকে জঙ্গি মুক্ত করতে ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সূত্রে তথ্যসংগ্রহ করেছে সরকারি এজেন্সিগুলি। এদিকে ছমাস পরেও মণিপুরের অন্যত্র হিংসার বাতাবরণ রয়ে গিয়েছে। বিগত কয়েকদিন সাধারণ মানুষ বড় ধরনের হিংসা শিকার না হলেও পরিস্থিতি যে কোন সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, মোরের ঘটনায় তেমন ইঙ্গিত রয়েছে, মনে করছে প্রশাসন। কারণ লুট হওয়া অস্ত্র অধিকাংশই এখনই উদ্ধার করা যায়নি।