বছর ঘুরলেই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। আর তার প্রাকলগ্নে ক্রমাগত গোষ্ঠীকোন্দল তিষ্ঠোতে দিচ্ছে না পদ্মশিবিরকে। এবার বঙ্গ বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতেও সূত্রপাত হল বাকবিতণ্ডার। প্রসঙ্গত, চলতি উৎসবের মরসুমে বাংলাজুড়ে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই বিজয়া সম্মিলনীকেই পাখির চোখ করেছিল গেরুয়া-নেতৃত্ব। শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টিমুখের মাধ্যমে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের উদ্দেশ্যে কর্মসূচি নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু তাতে লাভ হল না কোনও। উল্টে মাথাচাড়া দিল বিবাদ। সোমবার বিজেপির মুরুলীধর সেন লেনের আদি পার্টি অফিসে বসে পুরনো ও বসে যাওয়া কর্মীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী সেরেছেন দিলীপ ঘোষ। আর তা সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের শিবিরের কাছে তা অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিক্ষুব্ধদের একাংশ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে সুকান্ত, অমিতাভদের।
এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই, বসে যাওয়া নেতা-কর্মীদের অনেকেই দিলীপের হাত ধরে ফের আসরে নামতে চাইছেন। বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের উপর ক্ষিপ্ত কর্মী-সমর্থকরা দিলীপ ঘোষকেই আঁকড়ে ধরে চাইছেন। জেলায় জেলায় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির উপস্থিতিতে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনের পরিকল্পনাও হচ্ছে। রবিবার সকালে ইকো-পার্কে এমনই এক বিজয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দিলীপ। দিলীপ-জমানায় রাজ্য ও জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতারাও এমন বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন। তাঁরা দিলীপ ঘোষকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। বঙ্গ বিজেপির বর্তমান শাসক গোষ্ঠী যা নিয়ে তীব্র আসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। দিলীপ ঘোষের জনভিত্তির সামনে সুকান্ত-অমিতভরা কার্যত নিষ্প্রভ। অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রীয়ভাবে বিজয়া সম্মিলনীর দিনক্ষণ ঠিক করে উঠতে পারেনি এখনও। স্বাভাবিকভাবেই যা বিপুল চাপ ফেলেছে গেরুয়া-নেতৃত্বের উপর।