মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন সরকারের বয়স দেড় বছর হতে চলল। অথচ শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে গিয়ে পৃথক পরিষদীয় গোষ্ঠী তৈরির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কিনা সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এর আগে একাধিকবার স্পিকারকে আদালত বলেছিল অনির্দিষ্টকাল বিষয়টি ফেলে না রেখে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু স্পিকার বিষয়টি বারে বারে এড়িয়ে গিয়েছেন। সোমবার সর্বোচ্চ আদালত সময় বেঁধে দেওয়ায় বিতর্কটি নয়া মাত্রা পেল।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শিন্ডের জন্য স্পিকারের সিদ্ধান্ত সুখকর নাও হতে পারে। এমন সম্ভাবনা আঁচ করেই মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডনবিস রবিবার ঘোষণা করে দিয়েছেন, শিন্ডের সদস্য পদ চলে গেলেও তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। শিন্ডেকে বিধান পরিষদ থেকে জিতিয়ে আনা হবে।
গত বছর জুনে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দল ছেড়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। সেই দলবদলের বৈধতা নিয়ে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। তখন স্পিকার ছিলেন এনসিপি’র নেতা। পরে শিন্ডে বিজেপির সমর্থনে সরকার গঠন করেন। বিধানসভার স্পিকার হন বিজেপির বিধায়ক। তারপর থেকে দলবদলের নালিশের নিষ্পত্তি থমকে আছে। উদ্ধব শিবির বিচার পেতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।