আরও একবার বিশ্বভারতী-ইস্যুতে সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট আর্জি জানালেন, বিতর্কিত স্মারকফলক এখনই সরানো হোক। একইসঙ্গে কেন্দ্রকেও ভুল শুধরে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ফের একবার ওই ফলককে আত্মপ্রচারমূলক এবং অহংকারী বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা। সোমবার ফের একবার বিশ্বভারতীর বিতর্কিত স্মারক নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মমতা। একাধিকবার আপত্তি জানানো, আন্দোলনের পরও বিতর্কিত ফলক এখনও সরায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলস্বরূপ বার্তায় আরও একবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কবিগুরুকে ভুলে আত্মপ্রচারমূলক, অহংকারী প্রচার চলছে বিশ্বভারতীতে। শান্তিনিকেতনকে সম্মান দিয়েছে ইউনেস্কো। কিন্তু বর্তমানে সেখানকার প্রধান (উপাচার্য) কবিগুরুক অবদান ভুলে নিজের নামের প্রচার চালাচ্ছেন। ঈশ্বরের দোহাই, ওই ফলক সরিয়ে ফেলুন যেখানে কবিগুরুকে অসম্মান করা হয়েছে। সামান্য মানবিকতা দেখান। সম্মান করুন।” একইসঙ্গে কেন্দ্রের কাছে তাঁর আর্জি, এই চরম ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করুক দিল্লিতে ক্ষমতাসীন সরকার। গত মাসেই শান্তিনিকেতনের মুকুটে নয়া পালক জুড়েছে। তাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি পদক্ষেপ যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করে। ইউনেস্কোর হেরিটেজ প্রাপ্তির ফলকে নেই রবীন্দ্রনাথেরই নামই! সেখানে লেখা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। আর এতে স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ শান্তিনিকেতনবাসী। আন্দোলনও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।