সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে ‘ভারত’ করা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। ভবিষ্যতে ‘ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে ‘ভারত’ নামই যে কেন্দ্রের মোদী সরকারের পছন্দ, তার প্রমাণ মিলল মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে।
রেল মন্ত্রকের বিভিন্ন নথিতে ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবের উপর সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে রেলের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই প্রথম মোদি সরকার ‘ইন্ডিয়া’ নাম পরিবর্তনের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক সবুজ সংকেত দিল। সরকারি কাজকর্মে সমস্ত ইংরেজি নথিতে দেশের নাম হিসাবে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি ব্যবহার হয়ে থাকে। আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশের নাম ‘ভারত’ করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
দেশের নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত প্রথম পাওয়া গিয়েছিল গত জি-২০ সম্মেলনের সময়। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী শীর্ষ নেতাদের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই আমন্ত্রণপত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে লেখা হয়েছিল ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। শুধু তাই-ই নয়। সম্মেলনে দেশের নেমপ্লেটে ‘ভারত’ নামটি উল্লেখ করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় দেশের বিরোধী দলগুলি। একযোগে মোদি সরকারকে নিশানা করে তারা। এভাবে আলোচনা ছাড়াই দেশের নাম পরিবর্তন করা যায় না বলে দলগুলির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।
বস্তুত, বিরোধীদের অভিযোগ, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদী বিরোধী লড়াইয়ে গঠিত বিরোধী জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। তাদের মতে, এটা মোদী সরকারের কাছে শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার জন্যই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে ‘ভারত’ করার তোড়জোড় বলে দাবি করে বিরোধী শিবির। যদিও বিরোধীদের দাবি, সেই সময় খারিজ করে দিয়েছিলেন মোদী সরকার। উলটে বিরোধী জোটের নাম নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের।