ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করার পর সেই সম্মান প্রাপ্তির ফলকে প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকায় আগেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যে, যদি ওই ফলক না তোলে, তাহলে রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল৷ আর তারপরই রবিবার নামফলক বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চার পাতার বিবৃতি জারি করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার তার পালটা দিয়ে তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বললেন, ‘চতুর্থ শ্রেণির বিজেপি ক্যাডারের মতো ভাষা প্রয়োগ করেছেন উপাচার্য’।
সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ বলেন, ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য যে চিঠিটি লিখেছেন, সেটি চতুর্থ শ্রেণির বিজেপি ক্যাডারের লেখা বলে মনে হচ্ছে। ওটা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভাষা হতেই পারে না। যিনি বিশ্বভারতীর নামফলক থেকে রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে নিজের নাম দেন, সেখানে নরেন্দ্র মোদী ও নিজের নাম লেখেন, তাঁর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। ডাক্তার দেখানো দরকার। তিনি বিশ্বভারতীর লজ্জা। নরেন্দ্র মোদির সাঙ্গোপাঙ্গোরা যখন লুট করে বিদেশে পালিয়ে যান, তখন দেখতে পারেন না বিদ্যুৎ চক্রবর্তী? যখন উন্নাও, হাথরাসে নারী নির্যাতনের মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, তখন দেখতে পারেন না?এই অপসংস্কৃতি ছড়ানোর কাজে পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে রেয়াত করা হবে না।’