জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তারি নিয়ে কটাক্ষের পালা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ – একে একে সকলের বাঁকাচোরা মন্তব্য করছেন। আর তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে নিজের দল নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
তিনি বললেন, ‘বিজেপি হারতে হারতে হারাধন হয়ে গিয়েছে। দাবি ছিল, দিলীপ ঘোষকে সরাতে হবে। আমি তো সরেই গিয়েছি। এখন কী হচ্ছে’? তা নিয়ে পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘দিলীপ ঘোষ তো ঠিকই বলেছেন। সেই হারাধন বিজেপি এখন এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করাচ্ছে’।
দিলীপ ঘোষ এই মুহূর্তে রয়েছেন দিল্লিতে। সেখানেই সাংবাদিকরা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তারি নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তা নিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির প্রতিক্রিয়া, ‘কে কে আরও গ্রেপ্তার হবে, তার তো লম্বা তালিকা আছে। আমরা বলছি তো, ওঁদের গ্রেপ্তার করে এখানে নিয়ে আসা হোক। দিল্লির জল-হাওয়া ভালো, ভালোই থাকবেন ওঁরা। একজনকে তো আনা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল। অন্যান্য নেতারাও আসুন। একে একে সব নেতাই গ্রেপ্তার হবেন’।
এর পর নিজের দল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘দাবি ছিল, আমাকে সংগঠন থেকে সরাতে হবে। অন্য নেতাদের নাকি কাজে অসুবিধা হচ্ছে। তো আমাকে সরানো হয়েছে। এখন কী হচ্ছে? হারতে হারতে হারাধন হয়ে গিয়েছে’।
এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পালটা বক্তব্য, ‘দিলীপ ঘোষ তো ঠিকই বলেছেন। তিনি নিজের দলের অবস্থা ভালোই বুঝতে পারছেন। এখন হারাধন বিজেপি এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করতে। জানে কোথাও কিছু হবে না। রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিজেপি’।