বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে ইডি-সিবিআইকেও একহাত নিলেন তিনি। স্পষ্ট বললেন, অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হোক। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতার প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুললেন, “রাজ্যজুড়ে কেউ বলতে পারবেন রেশনে খারাপ জিনিস পেয়েছেন? আসলে তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে না পেরে এজেন্সি দিয়ে তার মোকাবিলা করতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির যিনি বক্তব্য রাখছেন, তার নিজের নামই তো সিবিআইয়ের এফআইআরে আছে ! অথচ তাকে কেন ছোঁয়া হচ্ছে না?” সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “বিনামূল্যে খাদ্য দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মানুষ দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছে। কোনও অভিযোগ তো আসেনি? এজেন্সির অপব্যবহার করছে ওরা। আসলে দলবদলুদের চক্রান্ত এটা।”
পাশাপাশি, কুণালের তার সাফ কথা, “বিজেপি চক্রান্ত করবে এজেন্সির অপব্যবহার করবে, আর একটা গ্রেফতারের উপর দাঁড়িয়ে দল ব্যবস্থা নেবে, এটা সম্ভব না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা সারদা-নারদা নিয়ে দেখা হোক। নিজের পিঠ বাঁচাতে গদ্দার এখন বিজেপির ছাতার তলায় অমিত শাহের জুতো পালিশ করে। তিনি দাবি জানান, অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হোক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে কুণালের প্রশ্ন, ‘‘এই বেলা আপনারা নীরব কেন?’’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আদর্শের ওপর সারা বাংলার মানুষ বিশ্বাস রাখে তা বারে বারে প্রমাণিত। কুণালের দাবি ২৫ জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়েই রয়েছেন। আসলে তারা বিজেপিতে থেকে কিছুই করতে পারছেন না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সামিল হতে চাইছেন। সময় হলেই দেখতে পাবেন”, বক্তব্য তৃণমূল মুখপাত্রের।