শান্তিনিকেতনের ফলক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম তুলে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে গত বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, যদি ওই ফলক না তোলে, তাহলে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল৷ এদিন শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতেও দেখা যায় বিশিষ্টজনেদের৷ এরই মধ্যে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর শ্বেতমর্মর ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বাদ গেল কীভাবে, তা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের জবাব তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে’র স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো৷ রবীন্দ্রভবন, উপাসনা গৃহ, গৌরপ্রাঙ্গণ ইত্যাদি জায়গায় বসেছে নতুন শ্বেতপাথরের ফলকও৷ কিন্তু, সেই ফলক নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ অভিযোগ, সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও নেই স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম৷ জানা গিয়েছে, উপাচার্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল। গোটা বিষয়টি তিনি কেন্দ্রকেও জানাচ্ছেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর৷ সূত্রের খবর, তিনি উপাচার্যের কাছে জানতে চান, কীভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম এই ফলক থেকে বাদ গেল৷