শেষমেশ ল্যান্ডফল ঘটল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর। ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে হামুন। আগামী ৬ ঘণ্টায় এটি শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে বৃষ্টি বা ঝড়ের সম্ভাবনা নেই বাংলায়। আগামী কয়েক দিনে কমবে তাপমাত্রা। বাড়বে শীতের আমেজ। ঘূর্ণিঝড়ের চাপ সরে যেতেই উত্তুরে হাওয়া আবার প্রভাব বিস্তার করবে বাংলায়। আগামী দু-তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমবে। ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে সরে যাওয়ায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আর নেই বাংলায়। উত্তর বঙ্গোপসাগর উপকূল আজও উত্তাল থাকবে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা। ইতিমধ্যেই মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির কারণে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে। সব মিলিয়ে শীতের আমেজ পশ্চিমের জেলায় খুব বেশি অনুভূত হবে। বাকি জেলাগুলিতেও হালকা শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে।
প্রসঙ্গত, আগামী দু-তিন দিনে রাজ্যজুড়েই ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় সরে যেতেই উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব বাড়বে। কলকাতা সহ সংলগ্ন এলাকায় দুপুরের দিকে তাপমাত্রা বাড়লে, শীতের আমেজ কমবে। সকাল ও সন্ধ্যায় শীতের আমেজ থাকবে বাকি জেলাগুলিতে। পাশাপাশি, কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আজ আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন। দিনে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকলেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বেশি রয়েছে। আগামিকাল থেকে রাতের তাপমাত্রাও কমবে। শীতের আমেজ অনুভূত হবে সকাল সন্ধ্যায়। কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৮ থেকে ৯৭ শতাংশ। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আসাম এবং মিজোরামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কেরল এবং মাহেতেও। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এলে উত্তর-পশ্চিম ভারতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহবিদরা।