আপাতত খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। হড়পা বানের বিপর্যয় কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে সিকিম। ঘটনার ১৭ দিন পরে, সপ্তমীর সকালে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ফের চালু হল। শনিবার কালিম্পঙের জেলাশাসক বালসুব্রমনিয়ন টি এক নির্দেশিকা জারি করে আপাতত সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি জাতীয় সড়ক খোলা রাখার কথা জানান। এর ফলে পর্যটকদের সিকিমে যাতায়াতের সমস্যা কাটল। তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, কোনও সমস্যা দেখা দিলেই রাস্তায় যান চলাচল ফের নিয়ন্ত্রিত, এমনকী, বন্ধও করা হতে পারে। চলবে জাতীয় সড়কের মেরামতির কাজও। জানা গিয়েছে, আপাতত এই রাস্তায় শুধু দু’চাকা এবং ছোট ও চার চাকার গাড়ি চলাচল করবে। বড় গাড়ি, ট্রাক, বাস লাভা-গরুবাথানের ঘুরপথ ব্যবহার করবে। জানানো হয়েছে, রাস্তাটির খারাপ অংশে একমুখী গাড়ি চলবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিকিমের ‘লাইফ লাইন’ বলে পরিচিত এই জাতীয় সড়ক দিয়েই শিলিগুড়ি থেকে সোজাসুজি গ্যাংটক পৌঁছনো যায় এবং এই রাস্তা ধরেই যেতে হয় কালিম্পং। গত ৪ঠা অক্টোবর সিকিমের দক্ষিণ লোনাক হ্রদের হড়পা বানের জেরে তিস্তায় জাতীয় সড়কের একাধিক অংশ তলিয়ে যায়। বিশেষ করে, তিস্তাবাজার থেকে গেলখোলা হয়ে শ্বেতিঝোরা অবধি বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা পুরোপুরি ধসে যায়। রাজ্য সরকার রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থার হাতে তুলে দেয়। পুজোর মধ্যেই রাস্তা সারিয়ে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। শুক্রবার পরীক্ষামূলক ভাবে গাড়ি চলাচলের পরে, কালিম্পং পুলিশের ছাড়পত্র নিয়ে আপাতত রোজ ১২ ঘণ্টার জন্য চালু রাখা হচ্ছে সেই রাস্তাটি।