২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ৭ অক্টোবর। কারও সংগ্রহে থাকা ২০০০ টাকার নোট এই সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত সব ২০০০ টাকার নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে আসেনি। এখনও বাজারে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট ছড়িয়ে রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘২০০০ টাকার নোট আরবিআইয়ের হাতে আসছে। তবে এখনও ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২ হাজরের নোট বাজারে আছে। আশা করছি এই পরিমাণ নোটও ফিরে আসবে।’ উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুর দিকে গভর্নর বলেছিলেন, বাজারে যে পরিমাণ ২০০০ টাকার নোট ছিল তার মধ্যে ৮৭ শতাংশ ব্যাঙ্কে জমা হয়েছে। বাকিগুলি কাউন্টারগুলিতে বিনিময় করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর ওই বছরের নভেম্বরে ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল আমজনতাকে। শেষমেষ ২০০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। গত ১৯ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০০০ টাকার নোট বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল।
প্রথমে এই নোট প্রত্যাহারের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পরে আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল ৭ অক্টোবরের মধ্যে সেই নোটগুলি ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে গ্রাহকদের। এরপরে ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়া যাবে না।