গত ৩১ জুলাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছিল হরিয়ানার নুহ-তে। যা পরে গুরুগ্রামের কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই হোম গার্ড এবং একজন ধর্মগুরু সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বহু। একাধিক ঘর, দোকান, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এবার সম্প্রীতির বার্তা দিতে সেই নুহতে বাজতে চলেছে দুর্গাপুজোর বাদ্যি। সম্প্রতি হরিয়ানার সোহনা অঞ্চলে বসবাসকারী বাঙালি পরিবারগুলি সম্মিলিতভাবে গঠন করেছে আরাবলী বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটি। সেই সংগঠনের প্রথম দুর্গাপুজোর মণ্ডপের জন্য জায়গা দিয়েছে সোহনার একটি আবাসন কর্তৃপক্ষ— সেন্ট্রাল পার্ক ফ্লাওয়ার ভ্যালি। বাঙালিরা উদ্যোগ নিলেও অন্যান্য ধর্মের মানুষরাও পুজার আয়োজনে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়েছে।
দুর্গোপুজোর ঠিক আগেই এক হয়েছে সোহনার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৪০টি বাঙালি পরিবার। এই পরিবারগুলি মিলিতভাবে তৈরি করেছে আরাবলী বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটি সংগঠন। সেই সংগঠন সূত্রেই খবর, দুর্গাপুজোর প্রত্যেকদিনই ধুনুচি নাচ থেকে শুরু করে ভাংড়া সহ সবধরণের নাচ অনুষ্ঠিত হবে। এবং গুজরাতি নৃত্য ‘ডান্ডিয়া’র মাধ্যমে শেষ হবে এই অনুষ্ঠানসূচী। ‘সিঁদুর খেলা’রও আয়োজন রয়েছে। বাঙালি ছাড়াও ওই পুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বহু অবাঙালিও। সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য ‘শ্যামা’ উপস্থাপন করবেন তাঁরা। একদিন স্বামী শতমানন্দের নেতৃত্বে রামকৃষ্ণ মিশনের একটি দলের প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে তাঁরা আধ্যাত্মিক জীবনের উপর বক্তৃতাও দেবেন।