শনিবারই ছিল মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানের পর সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। আর এ উপলক্ষেই ভিন্ন কণ্ঠে ধরা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার বিকেলে কলকাতার নজরুল মঞ্চে যখন চণ্ডীপাঠের সংস্কৃত স্তোত্র উচ্চারিত হল অভিষেকের গলায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে অনেক বারই বিভিন্ন মঞ্চে সংস্কৃত স্তোত্র পাঠ করেছেন। কিন্তু তৃণমূলের কেউই মনে করে বলতে পারছেন না, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককে আগে কোনও প্রকাশ্য কর্মসূচিতে এমন স্তোত্রপাঠ করতে শুনেছেন কি না। দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে ধীর এবং স্পষ্ট বাচনভঙ্গিতে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ পাঠ করলেন স্তোত্র। দলের এক প্রবীণ নেতা জানালেন, ঘরোয়া অনুষ্ঠানে অভিষেক এর আগে স্তোত্রপাঠ করেছেন। তবে এত বড় প্রকাশ্য কর্মসূচিতে হয়তো এবারই প্রথম।
প্রসঙ্গত, পায়ের চোট ও সংক্রমণের কারণে বাড়ি থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যার উদ্বোধন করেন মমতা। চিকিৎসকদের বারণ, তাই সশরীরে নজরুল মঞ্চে যেতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রাজ্যের মানুষের কাছে মমতার আবেদন, পুজোর মরসুমে কেউ যেন কোনও প্ররোচনার ফাঁদে পা না-দেন। অভিষেকের বক্তৃতাও ছিল সংক্ষিপ্ত। তবে তাতেও নাম না-করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সেনাপতি। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে আক্রমণ করে যাঁরা বলেছিলেন এই রাজ্যে দুর্গাপুজো হয় না, আজকে তাঁরাই বাংলায় পুজো উদ্বোধন করতে আসছেন। এটাই বাংলার ঐতিহ্যের জয়।’’ প্রসঙ্গত, মধ্য কলকাতার একটি পুজো উদ্বোধনে কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আসার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডারও। রাজ্য সরকারের উদ্যোগের ফলেই যে বাংলার দুর্গাপুজো আবহমান ঐতিহ্যের তকমা পেয়েছে, তাও উল্লেখ করেন ভোলেননি তৃণমূল সাংসদ।