দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি ঢাকে কাঠি পড়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেরও। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। সেখানেই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের নতুন ইনসেন্টিভ পলিসি বা আর্থিক উৎসাহ নীতি আনতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, জানা যাচ্ছে এমনটাই। পাশাপাশি আনা হতে পারে প্রাণিসম্পদ সংক্রান্ত একটি ইনসেন্টিভ স্কিমও। সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। কৃষকদের আয়বৃদ্ধির হারের নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা, এমনই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ৯৬ শতাংশই ক্ষুদ্র চাষী। তাঁরা কৃষকবন্ধু প্রকল্প এবং বাংলা শস্য বিমার সুবিধা পাচ্ছেন। বয়স্ক কৃষকরা পান সরকারি পেনশন। ৮৬৪টি ফার্মার প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন ক্রেতা ও কৃষিদ্রব্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় গড়ছে। এতে কৃষকরা পণ্যের ভালো দাম পাচ্ছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে খরিফ মরশুমের ধান কেনা। এবার ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব পার্চেস মেশিনের (ইপপ) মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনবে প্রশাসন। ধান কেনার জন্য ইতিমধ্যেই ১০০টি ওই মেশিন এসেছে। এবার কোচবিহার জেলায় আরও দু’টি ধান ক্রয় কেন্দ্র বাড়ানো হতে পারে। নতুন পদ্ধতিতে ধান কেনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কৃষি বিপণন দফতরের কর্মী-সহ স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে।