হাতে আর একসপ্তাহ সময় বাকি। তারপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে দুর্গোৎসব। এই আবহে বিজেপির রাজ্য নেতারা চেয়েছিলেন বঙ্গে আসুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার জন্য তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে আমন্ত্রণও করেছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। কিন্তু তাতে সাড়া দিলেন না অমিত শাহ। তিনি দুর্গাপুজোর সময় আসছেন না। তাই তাঁকে কলকাতায় এনে জনসংযোগ করা সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর সময় কলকাতায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বলে সূত্রের খবর। এতে ক্ষতে খানিকটা প্রলেপ পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে মহাষষ্ঠীর দিন জেপি নড্ডা আসতে পারেন শহরে। এখনও পর্যন্ত তেমনই ঠিক রয়েছে। তবে সূচি বদল হলে পরে আসবেন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এই দুর্গাপুজোকে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি। ইতিমধ্যেই জনসংযোগে জোর দেওয়ার নির্দেশ এসেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে। বিজেপির সাংসদ–বিধায়কদের নিজের এলাকায় কমপক্ষে ১০০ দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে বলা হয়েছে। কলকাতার বড় দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। সেই তুলনায় বিজেপির প্রভাব নগণ্য। সুতরাং বিজেপি সভাপতি এলে এসবের জবাব দিতে হতে পারে।
কলকাতার বড় দুর্গাপুজোতে বিজেপি নেতাদের সক্রিয়তা সেভাবে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। ইজেডসিসি–তে দলের ব্যানারে আর পুজো হচ্ছে না। দলীয় কিছু নেতার উদ্যোগে দুর্গাপুজো করা হচ্ছে ঠিকই। একমাত্র সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোর মাথায় আছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। বিজেপি সূত্রে খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে সজল ঘোষের দুর্গাপুজোতেই নিয়ে আসতে চলেছে রাজ্য নেতৃত্ব। নড্ডার ঘুরে দেখার কথা উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো। তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি শহরের কোন পুজোগুলিতে যাবেন সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।