স্পেন সফরে থাকাকালীন পুনরায় বাঁ পায়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। কলকাতায় ফিরেই চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শেই প্রায় এক মাস ধরে বাড়িতেই আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে না গিয়ে বাড়ি থেকেই রাজ্য প্রশাসনের যাবতীয় কাজের তদারকি করছেন। বৃহস্পতিবার যেমন কালীঘাটের বাড়িতেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, মমতার কালীঘাটের বাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাস নয়। সেটি তাঁর ব্যক্তিগত আবাসস্থল। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি সেই ঠিকানা ছাড়েননি। যেমন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ব্যক্তিগত আবাস। ১৯৮০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সেখানেই থাকেন বুদ্ধদেব। সল্টলেকের ইন্দিরা ভবনেও প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আবাস ছিল মাত্র। কিন্তু সেটি ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন’ নয়। তেমনই ৩০, বি হরিশ চ্যাটার্জি রোডের বাড়িটিও ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন’ নয়।
তবে মমতার আশৈশব ঠিকানা এই বাড়িটিই। এখান থেকেই তাঁর রাজনীতি শুরু। ১৯৮৪ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে অধুনাপ্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সাংসদ হওয়া। তার পরে তিনি যখন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ, তখনও তাঁর ঠিকানা এই বাড়িই। এই বাড়িতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বাঘা বাঘা নেতা। দেশের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রাক্তন বা শাসক মুখ্যমন্ত্রীরা। এসেছেন ভারত-বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। এবার এখানেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।