২০১৩ সালে কামদুনিতে ঘটা নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু সম্প্রতি ৬ অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা রদ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার কামদুনি ধর্ষণ ও খুনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। এই ঘটনার সময়ে যাঁরা প্রতিবাদী ছিলেন তাঁরাও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। রাজ্যের হয়ে এই মামলাটি দেখছে সিআইডি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছে রাজ্য। তবে ৪ বিচারপতির বেঞ্চ এখনই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। বরং কয়েকটি নির্দেশ দিয়ে সময় বেঁধে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কামদুনি ধর্ষণ ও খুনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ দু’জনের ফাঁসির সাজা খারিজ করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। একজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। আরও চার দোষী সাব্যস্তের সাজা মকুব করা হয়েছে। এই রায় মেনে নিতে পারেননি কামদুনির প্রতিবাদী থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। মৌসুমি ও টুম্পা কয়ালকে রাস্তায় কাঁদতে দেখা যায়। তখনই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা তাঁরা জানিয়েছিলেন। এবার এই মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে।
কেন স্থগিতাদেশ চাওয়া হচ্ছে তা নিয়ে রাজ্য জানিয়েছে, এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধী বেকসুর খালাস পেলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দেবে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। যদিও আজ সোমবার শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এদিন মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে বিচারপতি বি আর গভাইয়ের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চে। তখনই জানিয়ে দেওয়া হয় সবপক্ষের বক্তব্য শুনে তবেই স্থগিতাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনকী যারা ছাড়া পেয়েছে তাদের বক্তব্যও শুনবে সর্বোচ্চ আদালত। একসপ্তাহ পর ফের মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।