ক্রমশই বাড়ছে জটিলতা। যুদ্ধের আবহে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ইজরায়েল। প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বমুখী তেলের দাম। হামাস প্রথম রকেটটি ইজরায়েলের দিকে ছুঁড়তে না ছুঁড়তেই অন্তত ৫ শতাংশ বেড়ে গেল তেলের দাম। সংকটে মধ্য প্রাচ্য। প্রমাদ গুনছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের তেলের বাজার। আজ, সোমবার সকাল নাগাদই টের পাওয়া যাচ্ছে তেলের এই ঊর্ধ্বমুখী দামের। প্যালেস্টাইনের ইসলামি গোষ্ঠী হামাস শনিবার গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েলের দিকে। এখনই মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইজরায়েলের সাহায্যে রণতরী পাঠাচ্ছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে এক ব্যারেল তেলের দাম মার্কিন ডলারে দাঁড়াচ্ছে ৮৮.৮২ মার্কিন ডলার। গাজা উপত্যকা থেকে শনিবার ইজরায়েলের দিকে একের পর এক রকেট ছোড়া হয়েছিল। এর পাল্টা জবাব দিতে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইজরায়েলও। গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি সেনাবাহিনী অন্তত দুটি বিমানহামলা চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল গতকাল।
এপ্রসঙ্গে প্যালেস্টাইনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হামাস’ বলেছে, ইজরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে নতুন অভিযানের অংশ হিসেবে রকেটগুলি ছুঁড়েছে তারা। জানা গিয়েছে, মাত্র প্রথম ২০ মিনিটের অভিযানে ৫০০০-এরও বেশি রকেট ছুড়েছে তারা। শুরুতে সকাল সাড়ে ছ’টার দিকে গাজার বেশ কিছু এলাকা থেকে রকেট ছোড়া হয়। তার পরই একনাগাড়ে রকেট ছোড়া শুরু হয়। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের এলাকাগুলিতেও সাইরেন বাজিয়ে স্থানীয়দের রকেট হামলার জন্য আগাম সতর্ক করে দেওয়া হয়। বোমা থেকে বাঁচতে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলির কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। রকেট হামলার সময় জেরুজালেমেও সাইরেন বাজানো হয়েছিল। আক্রমণের পরে হামাস স্বীকার করে, তারাই রকেট ছুড়েছে। হামাস বলেছিল, তারা দখলদার ইজরায়েলের সব রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অবসানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য তারা অপারেশন আল আকসা ফ্লাড ঘোষণা করেছে। প্যালেস্টাইন-ইজরায়েলের মধ্যে বিবাদ বহুদিনের। জেরুজালেম ও গাজা স্ট্রিপের দখলকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা বছরভর লেগেই থাকে। সম্প্রতি গাজা সীমান্ত দিয়ে প্যালেস্টাইনের শ্রমিকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় ইজরায়েল। তার পর থেকেই দু-দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা মাথাচাড়া দেয়। এই আকস্মিক হামলা তারই ফলশ্রুতি।