এশিয়ান গেমসে আরও একটি স্বর্ণপদক যোগ হল ভারতের ঝুলিতে। প্রত্যাশামতোই ফাইনালে জাপানকে হারিয়ে সোনা জিতল ভারতীয় হকি দল। প্রতিযোগিতার প্রথম থেকেই দুরন্ত ছন্দে ছিলেন হরমনপ্রীতরা। ৭টি ম্যাচে মোট ৬৮টি গোল করেছে ভারত। গতবার এশিয়ান গেমস হকিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছিল তারা। শনিবার ফের হকিতে ঘরে সোনা এল। ভারত ফাইনালে জাপানকে হারাল ৫-১ গোলে। জোড়া গোল করলেন হরমনপ্রীত সিংহ। একটি করে গোল মনপ্রীত সিংহ, অমিত রোহিদাস এবং অভিষেকের। এবারের এশিয়াডে এই নিয়ে ২২টি সোনা জিতল ভারত। গ্রুপ পর্বে জাপানকে ৪-২ গোলে হারিয়েছিলেন হরমনপ্রীতরা। প্রথম কোয়ার্টারেই ভারত এগিয়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে। কিন্তু শনিবারের ম্যাচ তার থেকে অনেক আলাদা। এই জাপান অনেক বেশি সংগঠিত হয়ে নেমেছিল। ফলে ভারতের খেলোয়াড়েরা গোলের মুখ খুলতে পারছিল না। কিন্তু যত সময় গেল, তত জাপানের দুর্ভেদ্য রক্ষণ অনায়াসে চূর্ণ করল ভারত। একটি-দু’টি নয়, গুনে গুনে পাঁচটি গোল দিল তারা। জাপানের আক্রমণ শুরু হচ্ছিল গোলকিপার থেকে। নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে দ্রুত গতিতে আক্রমণে উঠছিল তারা। সেই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছিলেন ভারতের খেলোয়াড়েরা। বেশ কয়েক বার জাপানের বক্সে ঢুকে পড়লেও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তাঁরা।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে একটি পেনাল্টি কর্নায় পায় ভারত। কিন্তু জাপানের গোলকিপার সেটি বাঁচিয়ে দেন। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে আবার একটি পেনাল্টি কর্নারের সুযোগ আসে। কিন্তু সেখানেও গোল আসেনি। জাপানের রাইকি বেশ সমস্যায় ফেলছিলেন। অন্য দিকে, ভারতের আক্রমণের ভার ছিল সুখজিৎ, মনদীপ এবং মনপ্রীতের উপরে। সেই মনপ্রীতই প্রথম গোল এনে দেন। ২৫ মিনিটের মাথায় রিভার্স হিটে গোল করেন তিনি। মনদীপ জাপানের খেলোয়াড়কে বাধা দিয়েছিলেন কি না, তা পরীক্ষা করেন আম্পায়ার। কিন্তু রেফারেলের পর ভারতের গোল বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই আবার একটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নেয় ভারত। মনপ্রীত বল মারেন মাসাকির পায়ে। প্রথম বার সফল হয়নি ভারত। দ্বিতীয় বার আর ভুল করেননি হরমনপ্রীত। হার্দিক পাস দিয়েছিলেন মনদীপকে। হরমনপ্রীতের শক্তিশালী ড্র্যাগ ফ্লিক আটকাতে পারেননি জাপানের গোলকিপার। এই কোয়ার্টারেই আসে ভারতের তৃতীয় গোল। এ বার অমিত রোহিদাস ভারতকে এগিয়ে দেন। চতুর্থ কোয়ার্টারে চতুর্থ গোল করেন অভিষেক। বক্সের মধ্যে দ্রুত আক্রমণে ঢুকে পড়েছিল ভারত। কোনাকুনি শটে গোল করেন অভিষেক। শেষ কোয়ার্টারে একটি গোল শোধ করে জাপান। গোল করেন তানাকা। খেলার অন্তিম লগ্নে একটি পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। সেখান থেকেই অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংহ শেষ গোলটি করেন।