ঘোর বিপাকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠালেন কালনার বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবপ্রসাদ বাগ। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার কাটোয়ার জনসভা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগের জবাবও আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিশে। আর তার সদুত্তর না পেলে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁকে কালনা আদালতেও টেনে আনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেবপ্রসাদবাবু। কয়েকদিন আগে কাটোয়ার পানুহাটে বিজেপির একটি জনসম্পর্ক সভা হয়। সেই সভায় উপস্থিত হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডি, সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। পাশাপাশি কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ ওরফে পল্টু বাগের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি আপত্তিজনক মন্তব্য করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, কালনা পুরসভায় পুরপ্রধান থাকাকালীন তিনি কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছেন। যদিও এর আগে কটাক্ষ করে তৃণমূল বিধায়ককে ঘুমের ওষুধের ডোজ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এবিষয়ে কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ আগেই জানান, “উনি আমার স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির ২০ কোটি টাকার হদিশ দিন। এটা যদি উনি দিতে পারেন তাহলে রাজনীতি থেকে চিরতরে আমি বিদায় নেব। কারণ, বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গেলে হলফনামা দিতে হয়।” মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ তুলে সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশে তৃণমূল মুখপাত্র এই প্রশ্নও ছুড়ে দেন যে, ওই সম্পত্তির প্রমাণ তিনি যদি দিতে না পারেন তাহলে উনি রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় নেবেন তো। এদিন কালনা আদালতে সুকান্ত মজুমদারকে ডাকযোগে আইনি নোটিশ পাঠাতে এসে দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “কাটোয়ায় সভা করতে এসে সুকান্তবাবু আমার সম্পর্কে কিছু অসত্য, অপ্রাসঙ্গিক, বাজে বাজে মন্তব্য করেছেন।” তিনি আরও জানান,“তাঁকে প্রমাণ করতে হবে,আমার জন্য প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামী আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও কালনা পুরসভায় থাকাকালীন হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আমি করেছি, এটাও প্রমাণ করতে হবে। এই কারণে তাকে আইনি নোটিস ধরানো হল। সাতদিনের মধ্যে তাকে উত্তর দিতে হবে।নাহলে আমি কেসে যাচ্ছি।” চিঠির উত্তর না দিলে কী হবে, সে বিষয়েও বিজেপি সভাপতিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেবপ্রসাদবাবু। “ওঁকে কালনা কোর্টে ডেকে এনে বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল”, স্পষ্ট জানিয়েছেন কালনার বিধায়ক।