গত মঙ্গলবার সময় দিয়েও দিল্লির কৃষি ভবনে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জয়োতি। উলটে কৃষি ভবন থেকে দিল্লি পুলিশ তাঁদের তুলে নিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেনদের। এর প্রতিবাদে সেদিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন, বৃহস্পতিবার একই দাবিতে রাজভবন অভিযান হবে। রাজ্যপালের কাছে দাবিদাওয়া তুলে ধরা হবে। সঙ্গে থাকবেন ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিত মানুষরা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে রাজভবনে ছিলেন না বোস। যদিও তাতেও রেহাই পাচ্ছেন না তিনি। এবার ‘গ্রাউন্ড জিরো’তেই তাঁকে ঘেরার কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল যেখানেই যাবেন, সেখানেই তাঁকে শুনতে হবে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযান বোস কলকাতায় না ফেরায় রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন অভিষেক। জানিয়ে দিয়েছেন, যত দিন না রাজ্যপাল রাজভবনে ফেরেন, যত দিন না তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাতের সময় দেন, তত দিন তাঁর ধর্না চলবে। এরই পাশাপাশি রাজ্যপালকে ‘ধাওয়া’ করারও কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। অর্থাৎ, তিনি রাজভবনে না ফিরলেও রেহাই পাবেন না। রাজ্যপাল যেখানে যে অনুষ্ঠানেই যান না কেন, তাঁকে শুনতে হবে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিন! মাথা গোঁজার ছাদের বন্দোবস্ত করুন! যে কর্মসূচির পুরোটাই সংগঠিত করবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় স্তরের তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারই যেমন রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পৌঁছেছিলেন জলপাইগুড়ির ত্রাণশিবিরে। সেখানেই তাঁকে শুনতে হয়েছে, ১০০ দিনের বকেয়া টাকার বন্দোবস্ত করুন। দু’জায়গায় কালো পতাকাও দেখতে হয়েছে তাঁকে।