বিজেপির ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নির্বাচনী ইস্তেহারে ‘এক দেশ এক ভোট’ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বারবার এর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এমনকী পদ্ম শিবিরের নথিপত্রেও ঘুরে ফিরে বিষয়টি এসেছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি এই জল্পনা তৈরি হয়েছে যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট পিছিয়ে যাবে। তা লোকসভার সঙ্গে একই সঙ্গে হয়ে যাবে। তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগড়, তেলঙ্গনা ও মিজোরামে ভোট হবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ শুরু হয়ে তা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শীঘ্রই তা ঘোষণা করে দেওয়ার কথা কমিশনের। কারণ ভোট ঘোষণা থেকে মোটামুটি ভাবে ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মতো সময় দেওয়া হয় নির্বাচনের জন্য। যাতে প্রস্তুতি ও প্রচার সারতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি।
রাজনীতির পণ্ডিতদের অনেকের মতে, বিধানসভা ভোট ও লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিত ভিন্ন। তাই বিধানসভা ভোটের ফলাফল কখনও লোকসভা নির্বাচনের প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এও ঠিক ২০০৩ সালে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে বিধানসভা ভোটে জেতার পর অটল বিহারী বাজপেয়ী তথা বিজেপি নেতারা এতই উজ্জীবিত হয়ে গেছিলেন যে ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে এনেছিলেন। আবার ২০১৯ সালে দেখা যায়, কংগ্রেস বিধানসভা ভোটে এই তিন রাজ্যে ভাল ফল করলেও লোকসভা ভোটে ধরাশায়ী হয়ে যায়। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা অনেকে বলছেন, ২০১৯ সালের ভোটের সঙ্গে চব্বিশের নির্বাচনকে মেলালে চলবে না। তখন মোদী সরকারের মাত্র ৫ বছর হয়েছিল। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা ততটা তীব্র ছিল না। কিন্তু এখন তার আঁচ ভাল মতো পাচ্ছে মোদী বাহিনী। ফলে আসন্ন পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফলের কিছু না কিছু প্রভাব এবারের লোকসভা ভোটে থাকবেই।