আরও একবার প্রবল সংশয়ের মুখে পড়লকেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির বিশ্বাসযোগ্যতা। এবার প্রশ্ন তুলল খোদ কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই অভিষেক অভিযোগ করেছিলেন, “ইডি আমাকে যে সমন পাঠাচ্ছে বা আমি ইডিকে যা লিখে পাঠাচ্ছি, সেই তথ্য শুভেন্দু অধিকারীর হাতে যাচ্ছে কীভাবে?” এবিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক। আর আজ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে ভরা এজলাসে ঠিক এই প্রশ্নটাই তুললেন অভিষেকের আইনজীবী বিষ্ণু সাহা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিষেকের আইনজীবী বলেন, “যে সমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি পাঠাচ্ছে সেই সমন গোপন থাকছে না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তা টুইট করে সর্বজনীন করে দিচ্ছেন। এটা কি ভাবে সম্ভব?” এমন কথা শুনে দৃশ্যতই বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা যায় বিচারপতিকে। তিনি বলেন, “এরকম ঘটনা ঘটলে এটা দুর্ভাগ্যজনক। মানুষের আস্থা ভরসা থাকবে না সংস্থার ওপর।”
প্রসঙ্গত, এরপরই ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, “তদন্তের নামে হয়রানি করছেন না তো?” অভিষেকের আইনজীবী আদালতকে বলেন, অভিষেক ফের নথি জমা দিলেও ফের যে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করা হবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? ইডির আইনজীবী জানান, “আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত নথিপত্র তুলে দিক। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা জানিয়ে দেব তাকে হাজিরা দিতে হবে কিনা।” এরপর লিপস এন্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে অভিষেক যেদিন থেকে যুক্ত হয়েছেন এবং বর্তমান যা যা লেনদেন হয়েছে কোম্পানির সঙ্গে, তার সমস্ত নথি আগামী ১০ই অক্টোবরের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।