এবার ফের ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। এক মামলার শুনানিতে তাদের প্রতিহিংসা পরায়ণ না হতে বলল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার ইডিকে সতর্ক করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাদের কাজে যেন স্বচ্ছতা থাকে এবং কঠোরভাবে আইন মেনেই কাজ করা হয়।
প্রসঙ্গত, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এম৩এম রিয়েল এস্টেট গ্রুপের ডিরেক্টরদের গ্রেফতারি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। ওই রিয়েল এস্টেট সংস্থার দুই ডিরেক্টর পঙ্কজ ও বসন্ত বনসলকে গত ১৪ জুন আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি।
ওই একই দিনে ইডিরই দায়ের করা অন্য একটি মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এরপরই সংস্থার দুই ডিরেক্টর আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ১৯ নম্বর ধারার অধীনে তাদের গ্রেফতারি বেআইনি বলে চ্যালেঞ্জ করেন এবং হরিয়ানা ও পঞ্জাব হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যেখানে তাঁদের গ্রেফতারিতে সম্মতি জানানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার ওই মামলায় শীর্ষ আদালতের তরফে অবিলম্বে এম৩এম রিয়েল এস্টেট গ্রুপের দুই ডিরেক্টরদের মুক্তির নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, ‘ইডি অফিসাররা গ্রেফতারির কারণ মুখে বর্ণনা করেছিলেন, কোনও লিখিত কপি না দিয়ে। যা ইডির নিম্ন মানের কাজের ওপর আলোকপাত করে। বিশেষ করে যেখানে তদন্তকারী সংস্থা দেশের আর্থিক সুরক্ষা রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে।’
এত উচ্চ ক্ষমতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছ থেকে কী আশা করা হয়, তার বর্ণনা করে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘ইডিকে স্বচ্ছ হতে হবে।সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। ইডি কখনও প্রতিহিংসাপরায়ণ হতে পারে না।’ শীর্ষ আদালতের তরফে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ইডিকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলারও নির্দেশ দেওয়া হয়।