পঞ্চায়েত ভোটের আগে নবজোয়ার যাত্রা থেকেই কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এবার দিল্লিতে লোক নিয়ে গিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা ছিনিয়ে আনব। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতোই দলের বিধায়ক-সাংসদদের পাশাপাশি হাজার হাজার লোক নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন অভিষেক। তবে রাজ্যের বঞ্চিতদের প্রাপ্য টাকা আদায় করতে গিয়ে এবার হেনস্তার শিকার হতে হল অভিষেক-সহ তৃণমূলের সাংসদদের। তাঁদের কার্যত টানা-হ্যাঁচড়া করে বের করে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সদর দপ্তর থেকে। এমনকী মহিলা সাংসদদেরও হেনস্তা করল দিল্লি পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূল প্রতিনিধিদের। আগে থেকে মন্ত্রীর কাছে সময়ও চেয়ে নিয়েছিলেন অভিষেকরা। সেইমতো গতকাল সন্ধেয় বঞ্চিতদের চিঠি হাতে তৃণমূলের জনা চল্লিশের একটি প্রতিনিধি দল যায় কৃষি ভবনে। তাঁদের মধ্যে ৮ জন ছিলেন ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিতরা। কিন্তু কৃষি ভবনে পৌঁছানোর পর তৃণমূল প্রতিনিধিদের জানানো হয়, মন্ত্রী ৫-৬ জনের বেশি কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। দেখা করতে হলে ৫ জনের প্রতিনিধি দল আনতে হবে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি তৃণমূল।
অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদরা জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না মন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন, তাঁরা কৃষি ভবনেই অবস্থানে বসে থাকবেন। এর পর প্রায় ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষা করেন অভিষেকরা। কিন্তু মন্ত্রী দেখা করেননি। পৌনে ন’টা নাগাদ তিনি দেখা না করেই কৃষিভবন থেকে বেরিয়ে যান। এর পরই দিল্লি পুলিশ কার্যত চড়াও হয় তৃণমূল সাংসদ এবং মন্ত্রীদের ওপর। অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদদের কৃষি ভবনের মধ্যেই আটক করা হয়। তাঁরা ঘটনাস্থল না ছাড়তে চাইলে তাঁদের মারধর ও হেনস্তা করা হয়। দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনকে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মারধর করা হয় শান্তনু সেনকে। কয়েকজন সাংসদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।