বাংলার প্রতি মোদী সরকারের ক্রমাগত বঞ্চনার প্রতিবাদে অনড় তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লীতে পাড়ি দিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ঘাসফুল নেতৃত্ব। সঙ্গে রয়েছেন আড়াই হাজার বঞ্চিত মানুষও। আজ দিল্লীর যন্তর মন্তর থেকে
কৃষি ভবনে পাড়ি দেন অভিষেকরা। কেন্দ্রীয় গ্রামী প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির দফতরের বাইরে বসে রয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে নেতাদের বসিয়ে রেখেই বেরিয়ে চলে গেলেন জ্যোতি। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলার মানুষের দাবিদাওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে এসেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বেরিয়ে চলে গিয়েছেন মন্ত্রী। মঙ্গলবার যন্তর মন্তর থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লীর কৃষিভবনে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তখন সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট। অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতাদের কাঁধে ছিল বাংলার মানুষের নিজেদের দাবি জানিয়ে লেখা চিঠি। কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁদের। সেই মতো মন্ত্রীর দফতরের সামনে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেন তাঁরা।
এদিন দফতরের ভিতর থেকেই ফেসবুক লাইভে তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা অভিযোগ করেন, সময় দিয়েও দেখা করছেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কখন তিনি দেখা করবেন, কথা বলবেন, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না বলে দাবি কল্যাণের। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বলেন, ‘‘মন্ত্রীর কথাতেই সময় বদলেছিল। এখন তিনিই দেখা করছেন না। দেখা করবেন কি না, তা-ও বলছেন না। তবে আমরা দেখা না করে যাব না।’’ শেষে মন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি দেখা করতে পারছেন না। যদিও অভিষেক জানিয়ে দেন, তাঁরা দেখা না করে যাবেন না। বাংলার মানুষের দাবিদাওয়া তাঁরা তুলে ধরবেন। কৃষি ভবনের ভিতর থেকে ভিডিয়োবার্তায় অভিষেক অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মন্ত্রী দেখা করার পরেই এই কৌশল নিয়েছেন। তৃণমূলের সাংসদ আরও বলেন, ‘‘মন্ত্রী বলেছেন, দেখা করবেন না। আমরাও বলছি, দেখা না করে এখান থেকে যাব না।’’ প্রথমে স্থির ছিল, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের ডেপুটি জ্যোতি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুপুর ১২টায় দেখা করবেন। পরে সেই সময় পরিবর্তিত হয়। যে কারণে যন্তর মন্তরে সকাল ৯টার বদলে দুপুর ১টার সময় শুরু হয় তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি।