‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল’। হ্যাঁ, বাংলার আবহমান ইতিহাসে সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই খেলা। ফুটবল মিশে গিয়েছে বাংলার রক্তে-ঘাসে-মাটিতে। ইউরোপীয় ফুটবলের অন্যতম পীঠস্থান তথা স্পেনের ঐতিহ্যশালী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের স্টেডিয়াম স্যান্টিয়াগো বের্নাবেউতে দাঁড়িয়ে এমনই বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা বাংলার ফুটবলে পরিকাঠামো এবং অর্থাভাবের অভিযোগ শোনা যেত বিস্তর। তবে গত ১১ বছরে ছবিটা অনেকটা বদলেছে। নানাভাবে ফুটবলের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। কিন্তু বাংলার ফুটবলকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে, তাকে স্বনির্ভর হতে হবে। খেলার মাঠকে বিপণনের মঞ্চ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। প্রসার ঘটাতে হবে ক্রীড়া বাণিজ্যের। আর সেই লক্ষ্যেই ইউরোপের অন্যতম সফল ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ঘুরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
উল্লেখ্য, শুধু ফুটবলের উপর ভিত্তি করে এই ক্লাব হাজার হাজার কোটির ব্যবসা চালাচ্ছে। অত্যাধুনিক পরিকাঠামো, ঝলমলে ট্রফি ক্যাবিনেট, অতি আধুনিক স্টেডিয়াম তো ঘুরে দেখলেনই। সর্বোপরি রিয়াল মাদ্রিদের সফল বিজনেস মডেল বুঝে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন ‘মহারাজ’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। শনিবার মাদ্রিদ সফরের তৃতীয় দিনে মুখ্যমন্ত্রীর গন্তব্য ছিল রিয়াল মাদ্রিদের স্টেডিয়াম। সফরসূচিতে না থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর প্রবল ইচ্ছা ছিল স্যান্টিয়াগো বের্নাবেউ ঘুরে দেখার। সেকারণেই আজ সেখানে যান তিনি। ‘দিদি’র পাশে ছিলেন ‘দাদা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। মিউজিয়াম, নবনির্মিত স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন তাঁরা। রিয়ালের ট্রফি ক্যাবিনেটে গিয়ে একে একে ক্লাবের সাফল্যের নজির প্রত্যক্ষ করেন মমতা। দীর্ঘক্ষণ বসেছিলেন গ্যালারিতে। ফুটবলের সঙ্গে বাণিজ্যকে মিশিয়ে বিপণনকে ঠিক কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটাই দেখলেন মমতা। রিয়াল মাদ্রিদ সফর শেষে সংক্ষেপে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আমরা পরিকাঠামো দেখতে এসেছিলাম। সেই সঙ্গে দেখে গেলাম কীভাবে ফুটবলকে বাণিজ্যিক করে তুলেছে। এটা আমাদের কাছে নতুন ধারণা এবং আশা। আমরা চেষ্টা করব যাতে আমরা এটাকে কাজে লাগাতে পারি।” এদিন রিয়াল মাদ্রিদের অফিসিয়াল বিপণী থেকে একটি ফুটবল কিনে সৌরভকে উপহারও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।