চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল গান্ধী মমতার সেই ফর্মুলাকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যস্তরে জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আর তারপরই এবার তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাবকে মান্যতা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রদেশ সভাপতিদের নির্দেশ দিলেন রাহুল গান্ধী। প্রদেশ জোট জটিলতা কাটাতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্র তিনি নিজে হস্তক্ষেপ করবেন। সম্প্রতি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠকে একই জোট বার্তা দেন তিনি।
শুক্রবার ইন্ডিয়া জোট নিয়ে রাহুলের মনোভাব স্পষ্ট করেন দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। জোট প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঘর থেকেই পদক্ষেপ শুরু করেছেন তাঁরা। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির সম্পর্ক ‘সুমধুর’ বলেই পরিচিত। সম্প্রতি, দিল্লি আমলা নিয়ন্ত্রণ বিলকে কেন্দ্র করে দু’দলের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হয়। আপের সঙ্গে নতুন করে বিবাদে জড়াতে নারাজ মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীরা। তাই দিল্লি প্রদেশ কমিটির নয়া সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আপ-ঘনিষ্ঠ অরবিন্দর সিং লভলিকে। আজ, শনিবার থেকে হায়দ্রাবাদে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের কর্মসমিতির দু’দিনের বৈঠক। যেখানে ইন্ডিয়া জোটে দলের ভূমিকা, অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির প্রস্তাব ও জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে। সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।