কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। ভূস্বর্গে এখনও দফায় দফায় চলছে অভিযান। জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন আরও একজন সেনা সদস্য। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে আরও একজন গুরুতর আহত সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার থেকে অনন্তনাগের কোকারনাগ এলাকায় লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী এবং ভারতীয় সেনা ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ওই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত মোট চারজন সেনা সদস্য শহিদ হলেন। তবে, অভিযান এখনও শেষ হয়নি।
জনৈক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালেও পুরো এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চলছে। এর আগে, রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনচাক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাটের মৃত্যু হয়েছিল। এদিন প্রাণ হারানো চতুর্থ সৈনিকের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে বেসরকারিভাবে জানা গিয়েছে শহিদ চতুর্থ সেনাকর্মী হলেন, রাইফেলম্যান রবি কুমার। এদিন সকালেই কর্নেল মনপ্রীত সিং এবং মেজর আশিস ধোনচাকের মৃতদেহ হরিয়ানর পানিপথে তাঁদের বাসভবনে আনা হয়েছে। ডেপুটি সুপার হুমায়ুন ভাটকে বৃহস্পতিবারই বুদগামে তাঁর বাসভবনে সমাধিস্ত করা হয়। তার আগে শহিদ সেনা ও পুলিশ কর্মীদের দেহ শ্রীনগরে আনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি, সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে যে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই অঞ্চলে অভিযান শুরু করেছিল যৌথ বাহিনী। সন্ত্রাসবদীদের আস্তানার সন্ধান পেতেই, তারা সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেছিল। তাদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল কর্নেল সিংয়ের। অপর দুই সেনা ও পুলিশ কর্তা গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে শ্রীনগরের এক হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়। লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীরা সকলেই লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান এখনও দুই থেকে তিনজন সন্ত্রাসবাদী ওই এলাকায় লুকিয়ে আছে। হেরন ড্রোন এবং কোয়াডকপ্টার দিয়ে এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। সেনা সূত্র অনুযায়ী, এই অভিযান পরিচালনা করছেন চিনার কর্পসের জেনারেল-অফিসার-কমান্ডিং, লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং ভিক্টর ফোর্সের জেনারেল-অফিসার-কমান্ডিং, মেজর জেনারেল বলবীর সিং।