গুলির লড়াইয়ে ফের কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ। জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে আবারও গুলির যুদ্ধ চলল সেনা এবং জঙ্গিদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই দুই সেনা আধিকারিক এবং ১ জন পুলিশকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এক সেনা আধিকারিকের কথায়, জঙ্গিরা অনন্তনাগ জেলার কোকরনাগ অঞ্চলে লুকিয়েছিল। সেখানেই শুরু হয় সেনা বনাম জঙ্গি দলের গুলির যুদ্ধ। জানা গেছে, সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে এই লড়াই এখনও চলছে। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময়ে একজন রাষ্ট্রীয় রাইফেল ইউনিটের কম্যান্ডিং অফিসার তথা কর্নেল, একজন মেজর এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশের একজন ডিএসপি নিহত হন। এক সেনা আধিকারিকের কথায়, কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট হুমায়ুন ভাট সাংঘাতিক আহত হয়েছিলেন গুলির লড়াইয়ের সময়ে। পরে প্রাণ হারান ৩ জনই।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এই ৩ জন পুলিশ এবং সেনা আধিকারিক একেবারে সামনে থেকে অপারেশনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আগেই তাঁদের কাছে খবর ছিল যে অনন্তনাগে নতুন ডেরা তৈরি করেছে জঙ্গিরা। সেই খবর পেয়েই অপারেশন শুরু করেন। ওই ৩ অফিসারের গুলি লাগার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি জম্মু কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং এবং এডিজিপি বিজয় কুমার পৌঁছান ঘটনাস্থলে। তাঁরাই উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন ৩ অফিসারকে। জঙ্গিদের গোপন ডেরা থেকে তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। যে মুহূর্তে তাঁরা জঙ্গিদের খুঁজতে খুঁজতে একটি বাড়ির ছাদে পৌঁছান, গোপন জায়গা থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কর্নেলের। বাকি দুই অফিসারকে আহত অবস্থায় সেনা হাসপাতালে উড়িয়ে আনা হলেও তাঁদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেও ৪ তারিখে একই ভাবে গুলির লড়াই চলে জম্মু-কাশ্মীরে। তখনও এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় জঙ্গিদের গুলির আঘাতে। দু-সপ্তাহের মধ্যেই ফের কাশ্মীরে উত্তেজনা ছড়াল।
