মোদী জমানায় রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রল, ডিজেল— সবেরই অগ্নিমূল্য। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কেরোসিন তেলের দামও! যা নিয়ে মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের। এমন পরিস্থিতিতে কেরোসিন তেলের দাম কমাতে অবিলম্বে মোদী সরকারকে নীতি নির্ধারণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, দেশের বহু মানুষ আজও রান্নার জন্য কেরোসিন তেলের ওপর ভরসা করে থাকেন। শুধু রান্না নয়, হ্যারিকেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ল্যাম্পেও কেরোসিন তেলের ব্যবহার চোখে পড়ে। কিন্তু ইদানিং সময় রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি হু হু করে বেড়েছে কেরোসিন তেলের দামও। ‘জরুরি পণ্য’ হিসেবে রেশন কার্ডে কেরোসিন তেল পেয়ে থাকেন রাজ্যের দরিদ্র মানুষেরা। তাহলে কেরোসিন তেলের দাম কেন বাড়বে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রেশন কার্ড হোল্ডারদের একাংশ।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কেরোসিন তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। গত জুলাই মাসেও দু’দফায় বেড়েছে কেরোসিন তেলের দাম। সেই নিয়েই দায়ের হওয়া এক মামলায় মামলাকারীর পক্ষে অভিযোগ করা হয়, কেরোসিন তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কোনও নীতি নেই। সেই কারণে তেল কোম্পানিগুলি ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে।
বিচারপতি বিবেক চৌধুরী শুনানিতে বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনসাধারণের সুবিধার জন্যই পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। যাতে তা জনগণের সুবিধার্থে ব্যবহার হয়। মানুষ কম দামে পণ্য পান এই ব্যবস্থাপনা থেকে। কেরোসিন তেল জরুরি পণ্যের আওতায় পড়ে। শুনানি শেষে বিচারপতি নির্দেশ দেন, জরুরি পণ্য হিসেবে যে জিনিস পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের মাধ্যমে দেওয়া হয় তার দাম তেল কোম্পানিগুলি নির্ধারণ করতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকার অবিলম্বে এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিক।