এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে যৌথ বিবৃতি দিল ‘ইন্ডিয়া’ জোট। স্পষ্ট দাবি করল, মোদী সরকার তথা বিজেপির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক শেষে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপির প্রতিহিংসার জেরেই ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় বৈঠকে থাকতে পারলেন না অভিষেক। প্রসঙ্গত, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের দিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। যার জেরে এদিন সমন্বয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি অভিষেক। বৈঠকের দিন অভিষেককে এভাবে তলব করায় আগেই প্রতিবাদ করেছিলেন ইন্ডিয়ার জোট শরিকেরা। এমনকী, এই তলবের প্রতিবাদে জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে একটি চেয়ার ফাঁকাও রাখা হয়েছিল অভিষেকের জন্য।
এদিন শিব সেনা বা এনসিপির মতো দল অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেও কংগ্রেস নীরবই ছিল। এমনকী বঙ্গ কংগ্রেসের নেতারা অভিষেককে নিশানা করে টিপ্পনীও করেন। তাই কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে সব বিতর্কে ইতি টেনে দিল সমন্বয় কমিটি। ইন্ডিয়া জোটের বিবৃতিতে বলা হল, “আমাদের সমন্বয় কমিটির সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি কারণ ইডি তাঁকে সমন করেছে। আর এই পুরো ব্যাপারটাই বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি।” এদিন অভিষেক ছাড়াও সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি এদিনের বৈঠকে ছিলেন না। তাই সমন্বয় কমিটির মোট ১২ জন সদস্য শরদ পওয়ারের বাড়িতে ওই বৈঠকে ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, আসন সমঝোতার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘ইন্ডিয়া’র সব শরিক দল দ্রুত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আসন সমঝোতার ব্যাপারটা চূড়ান্ত করবেন বলেই জানা গিয়েছে জোটের তরফে।