গত মাসে মারা গিয়েছেন কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চণ্ডী। নির্বাচন কমিশন তাঁর পুথুপাল্লি আসনে দ্রুত উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করে। আর সেই তার ফলাফলের প্রবণতা থেকে স্পষ্ট প্রয়াত কংগ্রেস নেতার জনপ্রিয়তা এখনও অমলিন। প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সাল থেকে টানা ৫০ বছর ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা ওমেন। ইএমএস নাম্বুদ্রিপাদ, অচ্যুৎ মেনন, পিকে বাসুদেবন নায়ার, ইকে নায়নার, ভিএস অচ্যুতানন্দন থেকে আজকের পিনারাই বিজয়ন— কেরালার সিপিএম এবং সিপিআইয়ের এই মুখ্যমন্ত্রীরা তো বটেই, দুই দলের শীর্ষ নেতারা নানাভাবে চেষ্টা করেও ওমেন চাণ্ডীকে হারাতে পারেননি।
বাংলায় মালদহে যেমন ছিলেন কংগ্রেসের বরকত গণিখান চৌধুরী, কেরালার পুথুপাল্লিতে তেমনই ছিলেন চাণ্ডী। মালদহে গণিখান চৌধুরীর মতো পুথুপাল্লিতেও বলা হত সেখানে ওমেন চাণ্ডীর নামে কলাগাছকে প্রার্থী করলেও কংগ্রেস জিতবে। দেখা গেল, প্রয়াত চাণ্ডীর জনপ্রিয়তার জোরে তাঁর পুত্র চাণ্ডী ওমেন বাবার শেষ বারের ফলাফলকে ছাপিয়ে বিপুল মার্জিনে জিতছেন। ঘণ্টাখানেক আগেই সিপিএম প্রার্থীর থেকে ৩৫ হাজারের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন প্রয়াত চাণ্ডীর ছেলে তথা কংগ্রেস প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত তাঁর মার্জিন কত হাজারে গিয়ে থামবে তা নিয়েই এখন জল্পনা চলছে।