বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর প্রথম কিছুদিন রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু সেসব এখন অতীত। পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর ভূমিকা থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর ছড়ি ঘোরানো— এসব নিয়ে রাজ্যপালের ওপর বেজায় বিরক্ত রাজ্য সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনার ভাবনাচিন্তা করছে তৃণমূলও। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের উল্লেখ করে শিক্ষা দপ্তরের তরফে উপাচার্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আইনে লেখা রয়েছে রাজ্যপাল যা পদক্ষেপ করবেন, তা রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর মারফত হতে হবে। কিন্তু আইন এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না। তাই গত ২ সেপ্টেম্বর রাজভবনের জারি করা নির্দেশ কোনও ভাবেই যেন কার্যকর করা না হয়।
রাজভবনের বিশেষ সচিবের কাছেও দপ্তর থেকে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, যে নির্দেশিকা রাজ্যপাল দিয়েছে, তা জারি করা উচিত হয়নি। এই নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত যখন তুঙ্গে, সেই আবহেই সোমবার সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করেছেন রাজ্যর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, ‘দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দেউলিয়া করে দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন বাংলার নতুন রাজ্যপাল। তিনি নিয়মকানুনের ধার ধারেন না। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ বিদূষক আমাদের রাজ্যপাল। আগের রাজ্যপালদের সঙ্গে ডায়ালগ হত। এখন শুধুই মনোলগ!’ শিক্ষা দপ্তর আইনের দ্বারস্থ হচ্ছে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
