বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম। কিন্তু ‘ডবল ইঞ্জিন’ হওয়া সত্ত্বেও বিপর্যয়ের দিনে তা কোনও কাজেই লাগছে না। এখনও প্লাবিত রয়েছে আসামের ৭ জেলা। বানভাসি লক্ষাধিক মানুষ। ৯৭ হাজারের বেশি গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বন্যার জেরে নতুন করে মৃত্যুর খবর নেই। বরং ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে রবিবার আসাম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বুলেটিনে জানানো হয়েছে। যদিও ধুবরির কাছে এখনও পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। নতুন করে ভারী বৃষ্টি না নামলে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে বলে জানিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আসাম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ৭টি জেলা প্লাবিত রয়েছে। বারপেতা, চিরাং, দারাং, গোলাঘাট, কামরূপ শহর, মোরিগাঁও এবং নওগাঁও— এই ৭টি জেলার ১ লক্ষ ২২ হাজারের বেশি মানুষ বানভাসি। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮। তবে গত কয়েকদিনে নতুন করে আর মৃত্যুর খবর নেই। আসাম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর শনিবার পর্যন্ত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বন্যায় মোট ১৩টি জেলার ২ লক্ষ ৪৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গিয়েছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু। প্রায় ৮ হাজার ৫৯২ হেক্টর চাষের জমি জলের নীচে চলে গিয়েছে। দারাং ও মোরিগাঁওয়ের রাস্তা, সেতুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবার তিনসুকিয়া, ধুবরি এবং বোনাগাইগাঁও বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
