প্রায় ৪ মাস ধরে জাতি হিংসার আগুনে জ্বলছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। ইতিমধ্যেই কুকি আর মেইতেইদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ঘটেছে গণধর্ষণ, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনাও। তবে সংসদের বাদল অধিবেশনে মণিপুর নিয়ে বিরোধীরা লাগাতার সুর চড়ানোর পর উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য সাময়িকভাবে শান্ত ছিল। কিন্তু সেই শান্তির পরিবেশ বেশি দিন স্থায়ী হল না। বিজেপি-শাসিত এই রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া জাতিগত সংঘর্ষে গত ৭২ ঘণ্টায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ২০। চূড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুরের মতো অশান্ত জেলাগুলিতে নতুন করে নিরাপত্তা, নজরদারি বাড়ানো হলেও হিংসায় রাশ টানা এখনও সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকালেও ফের সশস্ত্র মেইতেই এবং কুকিদের গুলির লড়াইয়ের খবর মিলেছে।
এদিকে, তার আগে দুই জেলার সীমানাবর্তী খৈরেন্টক এলাকায় মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর গুলির লড়াই বাধে। তাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরাও হামলায় যোগ দিয়েছিল। এরপর থেকেই বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিংসার খবর আসতে শুরু করেছে। চূড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুর সীমানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহলদারি চালিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। তবে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার চূড়াচাঁদপুর জেলার চিংফেই এবং খৌসাবুং থেকে গুলির লড়াইয়ের খবর আসে। ওই দুই এলাকা থেকে প্রাণভয়ে বেশ কিছু গ্রামবাসী পালিয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি রাজ্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং স্বীকার করেছেন, পরিস্থিতি সঙ্কটজনক।