আরও একবার বাংলাজুড়ে বিপুল সাড়া ফেলল ‘দুয়ারে সরকার’। আজই শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সপ্তম সংস্করণ। প্রথম দিনেই বিভিন্ন জেলায় খোলা শিবিরে উপচে পড়ল ভিড়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম দিনই প্রায় ন’হাজার শিবিরে বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ এসেছেন ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৭০ জন। আগামী এক মাস ধরে চলবে শিবির। আগামী ১৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে শিবিরের প্রথম ধাপ, যেখানে প্রকল্পে অংশ নেওয়ার আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্বে পরিষেবা প্রদান। এবার খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, কৃষকবন্ধু, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ছাড়া আরও নানা প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারবেন উপভোক্তারা। যে চারটি নতুন প্রকল্প এ বারের দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে যোগ করা হয়েছে সেগুলি হল, বার্ধক্য ভাতা (সমাজ কল্যাণ ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ), পরিযায়ী শ্রমিকের নথিভুক্তিকরণ (শ্রম বিভাগ), উদ্যম পোর্টালে নথিভুক্তিকরণ (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ও বস্ত্র বিভাগ), হস্তশিল্পী এবং তাঁতশিল্পীদের তালিকাভুক্তিকরণ (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ও বস্ত্র বিভাগ)।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথম দিন, অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্য জুড়ে মোট ৮,৯৩০টি শিবির তৈরি করা হয়েছিল। তাতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৭০ জন মানুষ হাজির হয়েছেন। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। খোঁজখবর নিয়েছেন অন্যান্য বিষয়ে। সরকারের তরফে প্রেস বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় সর্বাধিক ১,১৭৮টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। তাতে ৩৯ হাজার ২১৫ জন মানুষের পা পড়েছে। শিবিরের সংখ্যার দিক থেকে তার ঠিক পরে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। যদিও হাজিরার দিক থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনাই সকলের আগে। সেই জেলায় মোট ১,১৬১টি শিবির বসেছিল। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাতে হাজির হয়েছেন ৮৬, ৭৫২ জন মানুষ। তবে এই তালিকায় জলপাইগুড়ি জেলার নাম নেই। ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনের কারণে এ বার জলপাইগুড়ি জেলাতে দুয়ারে সরকারের শিবির আয়োজন করা যায়নি। ২০২০ সালের ১লা ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প চালু করে। তার পর থেকে তা দফায় দফায় চলছে রাজ্য জুড়ে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট চার লক্ষ ৬৬ হাজার ২৮৪টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এই শিবিরগুলির মাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি রাজ্যবাসী উপকৃত হয়েছেন। পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে ৭ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।