বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর প্রথম কিছুদিন রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু সেসব এখন অতীত। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর ভূমিকা থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর ছড়ি ঘোরানো— এসব নিয়ে রাজ্যপালের ওপর বেজায় বিরক্ত নবান্ন। এবার রাজভবনের বিবৃতিতে আরও তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। বৃহস্পতিবার রাজভবন বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখন উপাচার্য নেই, সেখানে রাজ্যপাল তথা আচার্যই উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। বোসের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘বাংলা প্রবাদকে তিনি মান্যতা দিলেন। যাহা চাল ভাজা, তাহাই মুড়ি। যিনি আচার্য, তিনিই উাপাচার্য।’
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকা নিয়ে রাজ্যপালের সমালোচনা করেছেন ব্রাত্য। তাঁর বক্তব্য, ‘উপাচার্য নিয়োগ করে এবং না করে— দু’ভাবে নৈরাজ্য তৈরি করা হচ্ছে।’ রাজ্যের উচ্চ শিক্ষায় নজিরবিহীন সংঘাতের এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থারও হুঁশায়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আমি সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য। কোন আইনের বলে এটা করলেন, আমার মাথায় ঢুকছে না। আমরা আইনি পদক্ষেপ করব বলে ভাবছি।’ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময়ে রাজভবন থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, রাজ্যের যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেখানে আচার্য তথা রাজ্যপাল তাঁর নিজ ক্ষমতাবলে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন।